মরুভূমি অঞ্চলেতে দিনের বেলায়।
সূর্য যেই মধ্য গগনেতে উঠে যায়,
দৃশ্য এক দেখা পায় লোকেরা সকল।
সামনেই ওই দূরে আছে বুঝি জল।।
সে জলের উদ্দেশ্যেতে যতই এগাবে।
ততই সে জল দূরে সরে সরে যাবে।।
এই দৃষ্টিবিভ্রমকে মরীচিকা বলে।
কেন এটা হয় সেটা জানো কি সকলে?
সকলেই শুনে নাও কারণটা বলি।
পরিষ্কার হয়ে যাবে মুহূর্তে সকলই।।
সূর্যের উত্তাপে মরুভূমি অঞ্চলেতে।
বায়ু তপ্ত হয় তপ্ত বালুর স্পর্শেতে।।
বালু হতে বায়ুর উচ্চতা যত কম।
তপ্ত বালু স্পর্শে সেটা ততই গরম।।
তপ্ত হলে বায়ুর ঘনত্ব কমে যায়।
ভিন্ন স্তর ভিন্ন ভিন্ন ঘনত্বটা পায়।।
আলো যদি বিভিন্ন ঘনত্ব হয় পার।
তবে যেটা ঘটে প্রতিসরণ নাম তার।।
একটা ঘনত্ব থেকে অন্য ঘনত্বেতে।
গতিপথ বেঁকে যায় প্রতিসরণেতে।।
বাঁকা আলো প্রতিবিম্ব সৃষ্টি করে চোখে।
“ভার্চুয়াল ইমেজ” সেটা নাম দেয় লোকে।।
চোখেতে যখন আসে বেঁকে যাওয়া আলো।
দেখে মনে হয় যেন প্রতিবিম্ব হল।।
প্রতিবিম্ব দেখে জল আছে মনে হয়।
লোকে ভাবে হোথা বুঝি আছে জলাশয়।।
দৃষ্টির বিভ্রম দিয়ে যেটা যায় দেখা।
সেটাকেই সব লোক বলে মরীচিকা।।
মরীচিকা শুধুমাত্র দৃষ্টির বিভ্রম।
প্রকৃতির এ একটা অদ্ভুত নিয়ম।।
মরুভূমি না গিয়েও তোমরা সবাই।
রাস্তাতেই মরীচিকা দেখা পাবে ভাই।।
গ্রীষ্মকালে মধ্যহ্নেতে পীচের রাস্তায়।
দূর থেকে জলের মতন দেখা যায়।।
গ্রীষ্মের দুপুরে বাসে দূর পথে যেতে।
মরীচিকা অবশ্যই দেখবে পথেতে।।
|