বিজ্ঞানের ছড়া

লেখক - পিনাকীশঙ্কর চৌধুরী

                                                         

এক স্থির বিন্দু হতে সুতোয় বাঁধিয়া।

একটি বস্তুর পিণ্ড দাও ঝুলাইয়া।।

তারে ঠেলে অল্প কিছু দূরে নিয়ে যাও।

তারপর তারে সেইখানে ছেড়ে দাও।।

বস্তুটির গতিবিধি কর নিরীক্ষণ।

আপন পথে সে করে কেমনে ভ্রমণ।।

বস্তুটি আসিবে ফিরে আপনার স্থানে।

তারপর যাইবে সে বিপরীত পানে।।

উল্টোদিকে সেটা ঠিক ততদূরে গিয়া।

আবার আপন পথে আসিবে ফিরিয়া।।

একবার দুলিবার যে সময় লাগে।

উহার দোলনকাল বলে সেইটাকে।।

এইভাবে আসা যাওয়া চলিতে থাকিবে।

এই আসা যাওয়া তার বন্ধ না হইবে।।

বৈজ্ঞানিকগণ করেছেন নিরূপন।

পৃথিবীর আকর্ষণই ইহার কারণ।।

এই ক্রিয়াটির এখানেই শেষ নয়।

দোলনের আছে এক নির্দিষ্ট সময়।।

ঝোলানো ওই সুতোটির দৈর্ঘ্যক্রমে।

দোলকের দোলনকাল বাড়ে আর কমে।।

নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের জন্য নির্দিষ্ট সময়।

এই নিয়মের কোনো হয় না ব্যত্যয়।।

বৈজ্ঞানিকগণ পরে করিয়া গণনা।

সম্পর্ক দৈর্ঘ্যের সাথে করেছে স্থাপনা।।

 দোলকের দোলনকালের সূত্রখানা কী?

টু ‘পাই’ রুট ওভার ‘এল্‌’ বাই ‘জি’।। 

‘এল্‌’ দিয়া সূত্রটির দৈর্ঘ্য নিরূপন।

‘জি’ হইল অভিকর্ষ জনিত ত্বরণ।।

বৃত্তের পরিধি ব্যাসের অনুপাত ‘পাই’।

ধ্রুবক বলিয়া তারে জানি যে সবাই।।

তাহলেই দেখ এই সূত্র অনুযায়ী।

ভর ও দোলনকালের সম্পর্কই নাহি।।

বিভিন্ন ভরের বস্তু যখন দোলাবে।

সবারই দোলনকাল একটাই পাবে।।

বস্তুটির ভর যত বাড়ুক কমুক।

সময়ের হ্রাস বৃদ্ধি নয় এতটুক।।

মাপিয়া দোলনকাল বৈজ্ঞানিকগণ।

‘জি’-র মান বিভিন্ন স্থানে করে নিরূপন।।

পর্বতের উচ্চতাও তাতে হয় বার।

দোলক বিজ্ঞানীদের এক হাতিয়ার।।   

***

সূচিপত্র

কল্পবিজ্ঞান

গল্পবিজ্ঞান

বিজ্ঞান নিবন্ধ

পোড়োদের পাতা


Copyright © 2011. www.scientiphilia.com emPowered by dweb