অঙ্গদ

লেখক - মল্লিকা ব্যানার্জী

                                      

বড় ক্লান্ত ডঃ মিত্র ,বুঝতে পারছে হাতে সময় বড় কম। সুদীর্ঘ কাল ভারতবর্ষের বাইরে থাকলেও মনে মনে কবিগুরুর গানই গুণগুণ করে-“ক্লান্তি আমায় ক্ষমা করো প্রভু পথে যদি পিছিয়ে পড়ি কভু…।“

তবে মুখে গান থাকলেও অর্জুনের মত দৃষ্টি নিবদ্ধ মাইক্রো ইনঞ্জেকশনের সরু কাঁচের সুঁচের দিকে।ভীষণ দামী এই মেশিনে  অতি দক্ষ অভিজ্ঞ সায়েন্টিস্টরাই  একমাত্র পারে এই পদ্ধতিতে এক প্রজাতির সদ্য নিষিক্ত ডিম্বাণুর মধ্যে অন্য প্রজাতির দুশ কি তিনশ কপি  ডিএনএ ঢুকিয়ে দিতে। তাঁর মত দক্ষ বিজ্ঞানীর পক্ষেও ঘন্টায় পঞ্চাশ কি শখানেক কোষেই ঢোকানো সম্ভব এই ফরেন ডিএন এ। তাতেও সফল হবে মেরে কেটে পঞ্চাশ শতাংশ। কারণ ফরেন ডিএন এ ঢুকিয়ে দিলেই তো হল না যথার্থ প্রোমোটারের পাশে না বসলে সেই ডিএনএর  প্রকাশও তো যথাযথ ঘটবে না। এর পর ঐ নিষিক্ত ডিম্বাণুকে কে সারোগেট মাদারের বডিতে রাখতে হবে, তারপর যতদিন না বাচ্চা হচ্ছে   অপেক্ষা। এভাবেই তৈরী হবে ট্রান্সজেনিক অ্যানিমাল, যাদের শরীরে মানুষ নিজেদের ইচ্ছেমত  বৈশিষ্ট্য তা সে শারী্রিকই হোক অথবা চারিত্রিক ঢুকিয়ে দেবে।

তবে  বিশ বছর আগে অ্যান্ডিকে যখন তৈরী করা হয় তখন সর্বকনিষ্ঠ টীম মেম্বার ছিল তুষার। মনে হয় এই তো সেদিন,সালটা ২০০০। ডঃ তুষার মিত্র তখন বছর চল্লিশের যুবকই বলা যায়। অরিগাও তে তার ছোট্ট ভাড়ার বাড়ী,----স্ত্রী মিশেল আর পাঁচ বছরের তমোসাকে নিয়ে জমমজমাট সংসার। অসম্ভব খাটতে পারত মেদিনীপুর থেকে উঠে আসা বিজ্ঞানের ছাত্রটি তবে পাশে মিশেল ছিল বলে বাড়ীঘর দোরের দিকে ফিরে তাকাতে হয়নি। লাজুক মিশেলের সাথে আলাপ একটা কফিশপে। তখন   সদ্য পোস্ট ডক করতে এসেছে তুষার ওরিগানো হেলথ সায়েন্স ইউনিভার্সিটিতে। ঐ অ্যাকসেন্টেড ইংরিজি শুনলেই পেটটা গুরগুর করত তখনও ইজ্ ওয়াজ্ বলে ফেলত সে।

 এক বিকেলে ক্যাফের দোকানদারের সাথে পয়সা নিয়ে লেগে গেছিল কথাকাটাকাটি,প্রায় হাতাহাতি হবার উপক্রম। ঠিক সে  সময় নীল চোখ আর কালো চুলের এক পরী হাজির হয়ে তুষারের হাত ধরে টেনে আনে ঘটনাস্থল থেকে।

ভাঙ্গা ভাঙ্গা হিন্দীতে বলে –“হামি মিশেল,লভ ইন্ডিয়া। ডোন্ট আরগু উইথ দ্যাট রোগ দে আর ক্রিমিনাল বাই বার্থ।“

নিজেকে সামলে যতটা পারা যায় স্মার্টলি বলেছিল-“নো ক্রিমিনালস আর মেড। নো ওয়ান ইস বর্ন ক্রিমিনাল।”

আজ মনে হয় মিশেলই ঠিক ছিল আর সে সম্পূর্ণ ভুল!! 

এরপর নদীর ধারে অন্য ক্যাফেতে বারবারই দ্যাখা হয়ে যেত দুজনের---ছবি আঁকত মিশেল কত অপুর্ব জায়গা যে ঘুরেছিল দুজনে। এরপর স্বপ্নের মত পরপর ঘটে ঘটনা গুলো ----মিশেলের সাথে  বিয়ে,তমোসার জন্ম । ছোটবেলায় বাবা মাকে হারিয়ে  দেশে তুষারের  নিজের বলতে  তেমন কেউ ছিল না,এক পিসতুতো দাদা বৌদি ছাড়া। তাও মিশেল তমোসাকে নিয়ে ইন্ডিয়া ঘুরে গেছিল। এরপর ঝাঁপিয়ে পড়ে অ্যান্ডিকে তৈরী করতে।

মানুষের সাথে অনেক মিল তাই ওরা বেছে নিয়েছিল রিশাস মান্কিকে। জেলিফিশের শরীরে  যে জিন গুলো সবুজ ফ্লোরোসেন্ট কালার তৈরী করে সেটাই ঢুকিয়েছিল মাংকির ডিম্বাণুতে। সেসময় দিন রাত ল্যাবে কাটত তুষারের,কখনও পি.সি.আর করছে কখনও জেলিফিশের ডি এন এ কে রেস্ট্রিকশন এনজাইম  যাকে বায়োলজিকাল সিজার বলা হয় তা  দিয়ে টুকরো করে কাটছে । কাজ করতে করতে ভাবত ভাগ্যিস ঐ হট স্প্রিংএর ব্যাকটেরিয়ার শরীর থেকে পাওয়া এনজাইমটা ছিল তাই তো এত উচ্চ তাপমাত্রায় পি সি আর পদ্ধতিতে লক্ষ লক্ষ ডিএন এ র কপি তৈরী করতে পারছে। ঐ এক্সট্রা গ্লোয়িং প্রোটিন তৈরী করার জিন ঢোকাতে হিমশিম খেয়েছিলেন পুরো টীম। ২২০ টা  ডিম্বাণু থেকে মাত্র কুড়িটা মাংকির শরীরে চল্লিশটা নিষিক্ত ডিম্বাণু ঢোকানো সম্ভব হল।তার থেকেও মোটে পাঁচটা  মোটে মাংকি প্রেগনান্ট হল, তার মধ্যে মোটে তিনটে মাংকি জ্যান্ত বাচ্চার জন্ম দিল। দেখা গেল ঐ তিনটে বাচ্ছার  দুটো  একেবারেই  সাধারণ আর  একটা হল অ্যান্ডি--- যে ট্রান্সজেনিক,ওর গা থেকে জেলিফিশের মত সবুজ গ্লো হবে,।

যেদিন খবরটা ল্যাবে জানাজানি হচ্ছে , সেলিব্রেশন হবে সবাই দারুন মুডে হঠাৎ মিশেলের ফোন এল-“প্লিজ কাম শার্প,তমু ইস মিসিং।“

এরপর অন্ধকার নেমে আসে তুষারের জীবনে,দিনের পর দিন খুঁজেছে তমোসাকে। ঘটনার দিন শিল্পী মিশেল  তমুকে ঘুম পাড়িয়ে নিজের রং তুলি নিয়ে বসেছিল অনেকদিন পর। কেউ পেছনের দরজা খুলে ঘুমন্ত তমোসাকে কিডন্যাপ করে।

নাহ্!!  টাকা চেয়ে কোনো ফোন আসেনি,পুলিশ তন্নতন্ন করে খুঁজেও কিছু পায়নি।কেউ কেউ বলেছিল হয়ত  শিশুপাচার চক্র দুরে কোথাও পাঠিয়ে দিয়েছে। মিশেল ডিপ্রেশনে ক্রমশ ক্রমশ নেশার কবলে চলে গেল। আর প্রমিসিং সায়েন্টিস্ট ডঃ তুষার মিত্র পাঁচ বছর সব ছেড়েছুড়ে বসেছিল।

এরপর ২০০৬ এ মিশেল ডাইভোর্স নিয়ে বাফেলোতে মায়ের কাছে চলে যায়। তখনই একটা অদ্ভুত প্ল্যান আসে তুষারের মাথায় চলে আসে জাপান। তিনজনের একটা ফ্যামিলি ফটোছাড়া কিছুই নেয় নি।

ইউ এস এ তে এথিকাল ইস্যুতে যেখানে অর্ধেক ট্রান্সজেনিক অ্যানিমাল তৈরীর  রিসার্চ বন্ধ সেখানে জাপানে অনেক শিথিল সব কিছুই। ওখানে প্রচুর ম্যাকাক হনুমান আছে, যাদের নিয়ে ওদের ধর্মীয় উৎসব হয়,যার নাম সারুমাওয়াশী। পোস্টডকের সময়কার বন্ধু কাউরু আমাগীর বাড়ীতে এসে  প্রথমে ওঠে তুষার। সেও প্রায় আজ থেকে ষোলো বছর আগে। তখন দেখেছিল কি অসম্ভব বুদ্ধিমান আর  কি পরিশ্রমী এই ম্যাকাক হনুমান।

কতজনের বাড়ীতে আছে দু তিনটে করে হনুমান,তারা চান করাচ্ছে দই খাওয়াচ্ছে বাড়ীরই বাচ্চাদের মত। সেসময়ই তুওসির সঙ্গে আলাপ কুড়ি বছর ধরে ম্যাক্যকদের ট্রেনিং দিচ্ছে সে ----,কেউ ফুটবল খেলতে পারে,কেউ আইস হকি কেউ মুখে সুন্দরী জাপানী মেয়ের মুখোশ পড়ে লোকেদের এন্টারটেন করছে ক্যাফেতে। রিসার্চের জন্য ট্রেনড মাংকি ওই দেবে এই আশায় গাঢ় বন্ধুত্ব করে তুষার।

এরপর তুষার কাউরুর সাথে  গিয়ে যেখানে গোপনে  ট্রান্সজেনিক অ্যানিমাল তৈরী করছে এমন ল্যাবে জয়েন করে।

আবার শুরু করে রিসার্চ বেশ কিছু হনুমানকে গ্রোথ হরমোন দিয়ে, দেখেছে সত্যি অত ছোট অ্যানিমাল গুলো সাইজে বেশ বড় হয়ে উঠছে।   এরপরে সে হিউম্যান ব্রেণের বেশ খানিকটা ঢুকিয়ে  দিতে পেরেছে তুওসির কাছ থেকে আনা অত্যন্ত ট্রেনড কিছু ম্যাককের ভ্রূণে । যদিও বয়সের ভারে ক্লান্তি বোধ করে তবু  দিনে দিনে কাজটা এখন অনেক সহজ হয়েছে কারণ এখনতো আগের চেয়ে অনেক দামী দামী যন্ত্র থাকছে ল্যাবে আর সরকারের প্রচ্ছন্ন মদতে ভালই চলছে গোপনে এই রিসার্চ।

 প্রথম তুষারের   হাতে জাপানের এই ল্যাবে তৈরী হয়েছে ‘অঙ্গদ,”-- বয়স ছ বছর .বেশ খানিকটা হিউম্যান ডিএন এ ঢোকানো আছে ওর ব্রেণে , অল্প গ্রোথ হরমোন প্রয়োগে ওর উচ্চতা প্রায় পাঁচ  ফিট। কখনও দাঁড়ালে পেছন থেকে  বাচ্চা মানুষ মনে হয়। ওকে ভাল করে নজর রাখার উদ্দেশ্যে নিজের বাড়ী নিয়ে এসেছে । বন্ধু কাউরুর বাড়ীর পাশেই থাকে তুষার । কাউরুর  স্ত্রী ফুজিমা আর বছর পনেরর মেয়ে  নীনা দিনের বেলায় দেখাশুনো করে- অঙ্গদের।

অঙ্গদ কিন্তু অসম্ভব ভদ্র,কোনো কথা বলার আগেই বোঝে---একদিন রাতে ধুম জ্বর তুষারের। ঘোরের মধ্যে দেখে অঙ্গদ কপালে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে, কপালে ভিজে কাপড় বোলাচ্ছে ।

অবাক হয়ে ভাবছে তুষার আর কি কি দোষ গুণ এসেছে অঙ্গদের মধ্যে? বিচারবুদ্ধি কি হবে?

বুঝতে পারবে কে ভালো কে খারাপ?

এরপর একদিন বিকেলে কাউরুর বাড়ীতে চা খেতে  গিয়ে দেখে বন্ধুপত্নী ফুজিমা  তো অঙ্গদের  প্রশংসায় পঞ্চমুখ। ভীষণ স্মরণশক্তি অঙ্গদের,রান্না থেকে ঘর গোছানো সব কিছু একবার দেখলেই মনে রেখে দেয়। কে অতিথি আর কে বদ মতলবে বাড়ীর পাশে ঘুরঘুর করছে অঙ্গদ নাকি বুঝতে পারে।নীনা তো নিজের ছোট ভাই বানিয়ে ফেলছে অঙ্গদকে। একসাথে বসে কমলালেবু,আনারস আঙ্গুর খায়  দুজনে  মিলে ।

 চা খেয়ে উঠতে যাবে এমন সময় ফুজিমার দুর সম্পর্কের ভাই সুতোহারা এলেন। থাইল্যান্ড নিবাসী অবিবাহিত মানুষটি ভারী অমায়িক। প্রথমবার আসছেন তাই ভাগ্নী নীনার জন্য একগাদা গিফ্ট এনেছেন, অঙ্গদকে দেখে তো অবাক হয়ে গেলেন। কিন্তু অঙ্গদ স্পষ্ট বডি ল্যাংগুয়েজ দিয়ে বুঝিয়ে দিল মোটেই পছন্দ নয়। বেশ রাগে দাঁত খিঁচিয়েও দিল ,এমন ব্যবহার আগে কখনও কেউ দ্যাখেনি । অবস্থা সামাল দিতে ফুজিমা বলে উঠেছিল –“অঙ্গদ ফিলিং জেলাস।”বেগতিক বুঝে তাড়াতাড়ি অঙ্গদকে নিয়ে তুষার বাড়ী চলে গিয়েছিল।

এরপর একদিন  সবাই মিলে কাছেই সমুদ্রের বীচে বেড়াতে গেছিল—বীচে অনেক ম্যাকাক  ঘুরে বেড়াচ্ছে কিন্তু অঙ্গদ একদম আলাদা  তাই  অনেক লোকই অঙ্গদকে ঘুরে ঘুরে দেখছে।  কিন্তু অঙ্গদ  খুশি নয় কারণ সুতোহারাও এসেছেন। 

ডঃ তুষার মিত্র কাউরুদের সঙ্গে গল্প করলেও  একটা চোখ অঙ্গদের দিকেই ফেলে রেখেছে। অঙ্গদকে  বাড়ীতে চেন দিয়ে বাঁধে না তাও গলায় একটা চেন আজ ঝুলিয়ে নিয়েছে যতই হোক অচেনা পরিবেশ,তায় সুতোহারাকে ঘোরতর অপছন্দ অঙ্গদের।

একটু পরেই হঠাৎ অত ভীড়ের মধ্যে দেখা গেল নীনাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কাউরু ফুজিমা চীৎকার করে নীনার নাম ধরে ডাকছেন । সুতোহারাও খোঁজাখুঁজি করছেন-- বাকীরাও সাহায্য করতে ছুটে এসেছে। কেউ কেউ বলছে আজকাল টিনএজার মেয়েদের বীচ থেকে ধরে অনেক সময়ই থাইল্যান্ডে পাচার করা হচ্ছে । সব শুনতে শুনতে তুষার তমোসাকে হারানোর দিনগুলোতে ফিরে গেছে ---- কেমন যেন জড়ভরত হয়ে গেছে ।

হঠাৎ এক ঝটকায় তুষারের হাত ছাড়িয়ে এক লাফে চেন সমেত কোন দিকে চলে গেল অঙ্গদ।আর একটু পরেই দুর থেকে ভেসে এল সুতীব্র আর্তনাদ। ছুটে গিয়ে সবাই দ্যাখে একটা বেঁটেখাটো মানুষ চোখ চেপে ধরে চীৎকার করছে,সারা শরীর রক্তে ভাসছে পাশে রাখা হুইল চেয়ারে নীনা ঘুমোচ্ছে । নীনাকে কিছু শুঁকিয়ে অজ্ঞান করে, তারপর নীনার মুখে সুন্দর মুখোশ পরিয়ে নীনাকে হুইল চেয়ারে বসিয়ে নিয়ে দ্রুত পালাচ্ছিল লোকটা।

অঙ্গদ সব সময়ই লক্ষ রাখছিল নীনার ওপর। গোলমালে কি করে যেন আঁচ পেয়ে ওদিকেই তাকিয়ে থাকছিল অঙ্গদ। লোকটা নীনাকে নিয়ে পালাবার চেষ্টা করতেই ঝাঁপিয়ে পড়ে উপড়ে নিয়েছে লোকটার চোখটা।

 লোকাল পুলিশ এসে পরে ঘটনাস্থলে ---এরপর পুলিশী জেরার মুখে বেঁটে লোকটা স্বীকার করে সুতোহারার নির্দেশেই নীনাকে পাচার করা হচ্ছিল। থাইল্যান্ডে নাবালিকা পাচারের ব্যবসায় যুক্ত আপাত অমায়িক নিপাট ভালোমানুষ সুতোহারা।

 কাউরুর কাছ থেকে ফোনে খবরটা পেয়ে  “পেরেছি!! পেরেছি!!” বলে উন্মাদের মত হাততালি দিয়ে  নাচতে থাকে ষাট ছুঁইছুঁই বৃদ্ধ বিজ্ঞানী ডঃ তুষার মিত্র।

এখানে এসে এই রিসার্চের একটাই উদ্দেশ্য ছিল ডঃ তুষার মিত্রর ---- একটা বুদ্ধিমান বানর বাহিনী তৈরী করবে যাতে তারা মহিলাদের ওপর কোন ধরণের অত্যাচারই সহ্য করবে না।

বুদ্ধি ওদের আছে খালি বেশ খানিকটা সঠিক বিচার বুদ্ধি আর প্রতিহিংসার প্রবৃত্তিও ঢুকিয়ে দিতে পেরেছে ওদের ডিএনএ তে ---অঙ্গদ তারই জ্বলন্ত নিদর্শন।

আস্তে আসতে তৈরী হচ্ছে ডঃ মিত্রের ল্যাবে বানর সেনার দল।

সীতাহরণ বন্ধ করতে আসছে তারা।

 নিরলস খেটে চলেছেন ডঃ তুষার মিত্র আর যেন কোন বাবার তমোসারা না হারায়,  কেউ আর  কাড়তে পারবে না নীনাদের  তাদের বাবা মায়ের কোল থেকে।

শুনতে পাচ্ছেন ওদের পদধ্বনি -----আসছে অঙ্গদ বাহিনী।

                                             

সূচিপত্র

কল্পবিজ্ঞান

গল্পবিজ্ঞান

বিজ্ঞান নিবন্ধ

পোড়োদের পাতা


Copyright © 2011. www.scientiphilia.com emPowered by dweb